বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

সিলেটের বাসা-বাড়ির মালিকগণদের প্রতি মেয়রের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত বাসা-বাড়ির মালিকগনদের জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেয়র জানান, এখন থেকে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস হতে অনুমোধিত ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার এলার্মিং স্থাপন, অগ্নিনির্বাপন সুবিধা ও সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী রাখা, ইর্মাজেন্সি সিড়ি নির্মাণ, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ইমার্জেন্সি সিড়ির চওড়া সঠিক রাখা, সিড়ির গেইট ও দরজা সবসময় খোলা রাখা ও সংকেত দেয়া বাধ্যতামূলক।

ভবনের অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করা হতে বিরত থাকা, ধোয়া নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা রাখা সহ অগ্নিনির্বাপনের জন্য অতিরিক্ত জলধারা টেংকি তৈরী করে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষন রাখতে হবে। পেশাজীবি প্রকৌশলীর মাধ্যমে ভবনের নকশা তৈরী করারও পরামর্শ দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এছাড়া দূর্ঘটনার সময় ভবনের লিফট বন্ধ রাখা, অনুমোধিত প্ল্যান মোতাবেক লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী পর্যাপ্ত জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে। মেয়র জানান, সিলেট মহানগরী এলাকা ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চলের অর্ন্তভুক্ত। তাই মহানগরীর নাগরীকদের ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্ল্যান অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংকের সাথে সোকওয়েল বাধ্যতামূলক। ভবন নির্মানের সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এড়ানোর লক্ষে মানসম্মত অনুসরন করে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দ্ধারা পরীক্ষা করে নেয়া। এছাড়া এল. পি গ্যাস সিলিন্ডার সতর্কতার সাথে ক্রয় ও ব্যবহার এবং সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না তা ভাল করে দেখে নেয়া উচিত। নিয়মিত গ্যাস লাইন ও চুলা পরীক্ষা করা, ঝুকিপূর্ণ ভবনে বসবাস ও ব্যবসা-বানিজ্য না করার পরামর্শ দেন মেয়র। সব শেষে মেয়র বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপরও গুরুত্ব দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com